মে মাস যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ান আমেরিকান এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডার (এএপিআই) হেরিটেজ মাস হিসেবে পালিত হয়। বিভিন্ন ফেডারেল এবং রাজ্য সংস্থাগুলো এশিয়ান আমেরিকান ডায়াস্পোরার মধ্যে বৈচিত্র্য তুলে ধরার জন্য নানাবিধ ইভেন্টের আয়োজন করে।
হাওয়ার্ড কাউন্টি মেরিল্যান্ড রাজ্যের অন্যতম বৈচিত্র্যময় এবং সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি কাউন্টি। এই কাউন্টির জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরও বেশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত। প্রতি বছর হাওয়ার্ড কাউন্টি দিনব্যাপী একটি এএপিআই উৎসব আয়োজন করে, যা অনেক আনন্দ ও উদযাপনের সাথে পালিত হয়। প্রোগ্রামটি “কালচারাল প্যারেড” দিয়ে শুরু হয়, এরপর সারাদিন ধরে বহু সাংস্কৃতিক পারফরমেন্স হয়।
এই বছর মেরিল্যান্ড বাংলা স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মাধ্যমে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতি গর্বের সাথে উপস্থাপিত হয়। এটি মেরিল্যান্ড রাজ্যের একমাত্র বাংলা ভাষা কেন্দ্র। আয়োজকদের আমন্ত্রণে স্কুলটি সঙ্গীত এবং নৃত্যকলাসহ একটি অসাধারণ বাংলাদেশি মেডলি উপস্থাপন করে। গ্রুপটি তিনটি গান পরিবেশন করে: ১) “মাঝি নাও ছাইড়া দে”, ২) “মুক্তির মন্দির সোপানও তলে”, এবং ৩) “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার”।
প্রতিটি গানের সাথে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল যাতে বহুজাতিক দর্শকরা গানের সারাংশ এবং এর সাংস্কৃতিক বা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝতে পারেন। দর্শকদের জোরালো, দীর্ঘ করতালি উপস্থিত বাংলা স্কুলের শিল্পীদের জন্যই শুধু নয়, বিশ্বজুড়ে প্রতিটি বাংলাদেশির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত ছিল।
হাওয়ার্ড কাউন্টির এক্সিকিউটিভ ক্যালভিন বল তার সাপ্তাহিক নিউজলেটারে বাংলাদেশি সংস্কৃতির উপস্থিতি হাইলাইট করেছেন। আশা করা যায় যে মেরিল্যান্ড বাংলা স্কুল বাংলাদেশি আমেরিকানদের ও অন্যান্যদের মাঝে এভাবেই বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের এই গর্বিত উপস্থাপন অব্যাহত রাখবে।
প্রথম প্রকাশঃ ১৯ মে ২০২৪, ১০:৪০ পিএম, অনলাইন ডেস্ক, দেশ রূপান্তর
লিঙ্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে মেরিল্যান্ড স্কুলে মিলল বাঙালি সংস্কৃতির স্বাদ